ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

‘রঙিন পৃথিবীর রঙিন আলো সকল নারী থাকুক ভাল’

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :::20161207_111741

নারী নির্যাতন নির্মূলকরণে প্রচারাভিযান পক্ষ-২০১৬ উপলক্ষে মানববন্ধন ও র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘রঙিন পৃথিবীর রঙিন আলো সকল নারী থাকুক ভাল’Ñএই প্রতিপাদ্যে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসুচিতে পালিত হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রালয় এবং বেসরকারী উন্নয়ণ সংস্থা ব্র্যাকের আয়োজনে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী মো. আবদুর রহমান।
তিনি বলেন, নারীরা হচ্ছে প্রেরণার উৎস, সমাজ পরিবর্তনের কারিগর। তাদের সর্বক্ষেত্রে সহায়তা করতে হবে। যেকোন নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে নারী নির্যাতন নির্মূলকরণে প্রচারাভিযান পক্ষ ২০১৬ এর সফলতা কামনা করেন।
মানববন্ধন ও র‌্যালীতে উপস্থিত ছিলেন- জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুব্রত দাস, মহিলা বিষয়ক প্রকল্প ব্যবস্থাপক রাফিয়া আক্তার, জেলা ব্র্যাক প্রতিনিধি অজিত নন্দী, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ নেটওয়ার্ক (মেজনিন) এর জেলা কমিটির সদস্য সাংবাদিক ইমাম খাইর, মেজনিন কর্মসুচির সেক্টর স্পেশালিস্ট মো: ইসমাঈল হোসেন ও সিরাজুম মুনির।
এছাড়াও জেলা নেটওয়ার্কের সদস্য, কক্সবাজার জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও ব্র্যাকের বিভিন্ন কর্মসূচির কর্মকর্তা ও কর্মী বৃন্দসহ শতাধিকনারী-পুরুষ কর্মসুচিতে অংশ গ্রহণ করেন।
সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা ব্র্যাক প্রতিনিধি অজিত নন্দী ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুব্রত দাস।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে, নারী ও কিশোরীদের প্রতি সব রকম সহিংসতা ও যৌন হয়রানি নির্মূল করার প্রত্যয়ে পরিবার, কমিউনিটি, সমাজের সকল স্তরের মানুষকে প্রভাবিত ও উদ্বুদ্ধ করতে এবং স্থানীয়, জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্ঠার সম্বনয়সাধনের লক্ষ্যে ১৯৯১ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নারী নির্যাতন বন্ধে প্রচারাভিযান চালানো হচ্ছে।
ব্র্যাক ২০০৭ সাল থেকে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ব্র্রাক যৌথ ভাবে সকল জেলায় ৭ ডিসেম্বর ২০১৬ এই দিবস উদ্যাপনের জন্য কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে।
এই কর্মসূচি যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তা, আইনজীবি, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী পুলিশ বাহিনী, গণমাধ্যম সম্পাদক, সাংবাদিকদের সচেতনতা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির পাশাপাশি কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে।

 

পাঠকের মতামত: